মাটির বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করতে
নিম্ন লিখিত পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়-
প্রথমে মাটি বাছাই করতে হয়। পলি মাটি দিয়েই মাটির বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি হয়।
এই মাটি মূলত আশেপাশের খাল, বিল, নদী,পুকুরের মাটি। তারপর সেই মাটি ঝাড়া হয়। কারন
মাটির সঙ্গে অনেকসময় নূড়ি,পাথর,বালি ইত্যাদি মিশে থাকে। মাটি ঝাড়ার পর মন্ড পাকানো
হয়। এই মন্ড গুলি বিভিন্ন জিনিসের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ওজনের হয়। এরপর মাটি মাখা হয়
এবং চ্যাপ্টা করে বিদুৎ চালিত চাকায় দেওয়া হয়। কুমোর এরপর তার নিজের হাতের গুণে
গড়ে নেন তার চাহিদা মত সামগ্রী। এরপর করা হয় নকশা।
এখানেই শেষ নয় এরপর রোদে শুকাতে দেওয়া হয় এইসব সামগ্রী। খানিকটা শুকাবার পর সামগ্রীটাকে টেকশই করতে পরিমান মতো তাপ দিতে হয়।
আগুনের আঁচে পোড়ান হয় সামগ্রীটাকে তারপর প্যাকিং করে বাজারে পাঠান হয়।
মৃৎশিল্পের ক্ষেত্রে বহু জিনিসের চাহিদা অনেকটাই কমেছে। যেমন মাটির হাড়ি
কলসি র জায়গায় এখন এসেছে স্টিল বা অ্যালুমিনিয়ামের বাসনপত্র। চাহিদা বেড়েছে মাটির মূর্তি, ঘর
সাজাবার নানা উপকরনের। সেই কারনেই মৃৎশিল্পীরা টব, ফুলদানী,মূর্তি ,প্রদীপ,অ্যাশট্রে, ধূপ দানি, মোমদানি কফি মগ ইত্যাদি তৈরিতে বেশী মন দিয়েছেন। বর্তমানে
এগুলির চাহিদা বেশি থাকায় মৃৎশিল্পীদের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে তা এখনো
আশানুরুপ নয়।
👍
ReplyDelete